সোহেল, এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা নদী থেকে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
এতে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ী, মসজিদ, কবরস্থান ও ফসলি জমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যমুনার ভাঙ্গনে বিধ্বস্ত চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের অবশিষ্ট অংশকে যমুনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষায় নির্মিত ১০৭ কোটি টাকার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের যমুনা নদীর পাড়ের পাশে তলদেশ থেকে স্থানীয় একটি বালুদস্যু চক্রের নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহাউৎসব।
চৌহালী উপজেলার কোথাও অনুমোদিত কোন বালু মহল নেই এবং নদী থেকে বালু উত্তোলনে নেই প্রশাসনের অনুমতিও।
এরপরও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘ দিন ধরে যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ড্রেজারসহ বিভিন্ন দেশীয় পদ্ধতিতে বালু তুলে গড়েছে বালুর স্তুব। সেখান থেকে বালু কিনে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে নির্মাণ কাজ ও খাল ভরাটের কাজ চলছে। বালু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। তবে বালুদস্যুদের কাছ থেকে প্রশাসনিক কতিপয় কর্মকর্তা নিচ্ছে অনৈতিক সুবিধা এমন অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা। এ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নেই প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ।
এ ব্যাপারে পাউবো ও ভূমি বিভাগসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তা ব্যক্তিদের নজরদারীর পাশাপাশি যথাযথ ভূমিকা রাখা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করে।
এ বিষয়ে ড্রেজারের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া না গেলেও কর্মরত শ্রমিক আবুসামা জানান প্রায় দুই মাস ধরে এলাকার মানুষের ভিটাবাড়ী ও খাল ভরাটের জন্য যমুনা নদী থেকে বালু তুলছি। এ বিষয়ে এলাকার সবাই অবগত। যমুনা নদীর বালু উত্তোলনে কোন অনুমতি আপনার আছে কি ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মালিক জানেন। মালিক তো সবসময় থাকে না। আমরা শ্রমিক কাজ করি, বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেই। এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবোনা।