1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
সিলেটে বৃষ্টিস্নাত ঈদের সকাল,করোনা মুক্তির প্রার্থনা 
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

সিলেটে বৃষ্টিস্নাত ঈদের সকাল,করোনা মুক্তির প্রার্থনা 

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১, ৪.৪৯ পিএম
  • ৪৪৭ বার পঠিত
সিলেটে বৃষ্টিস্নাত ঈদের সকাল,করোনা মুক্তির প্রার্থনা
জুয়েল খাঁন,জেলা প্রতিনিধি সিলেট

ঈদের সকাল মানেই মানুষের ভিড়, সকাল থেকেই গাড়ির দীর্ঘ সারি। পিতার হাত ধরে নতুন জামা পরা ছোটি শিশুটির ঈদগাহে আগমন। আর নামাজ শেষে কোলাকুলি। কিন্তু এসব অতীত। মহামারীর শুরু থেকে নতুন কিছুর সাথেই পরিচিত হয়েছেন সিলেটের মানুষ। মেনেই নিয়েছেন, ‘চার দেয়ালের ভিতরেই পড়তে হবে নামাজ।’ সেই সাথে ছোট্ট শিশুটিকেও নেওয়া যাবে না ঈদের জামাতে। কারণ, মহামারী করোনা ভয়ানক হচ্ছে, দিচ্ছে ঘরে থাকার বার্তা। তাইতো সকাল হতেই মুখে মাস্ক, হাতে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদের দিকেই ছুটা।

বুধবার সকাল ৮টায় হজরত সিলেটে শাহজালাল (র) মাজার জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হয়। প্রায় একই সময়ে জামাত হয় হজরত শাহপরাণ (র.) মাজার মসজিদে।

নামাজ শুরুর আগে বৃষ্টিস্নাত সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে উপস্থিত হন মুসল্লিরা।

হজরত শাহজালাল (রা.) মাজারের দরগাহ মসজিদে নামাজ শেষে হয় খুতবাহ। খুতবায় দেওয়া হয় মহামারী করোনা থেকে সচেতনতার বার্তা। সেই সাথে কুরবানির নিয়ম নিতি সম্পর্কে অবিহিত করা হয় উপস্থিত মুসল্লিদের। সবশেষ পুণ্যভূমি সিলেটসহ বিশ্বের মুসলিমদের করোনা মহামারী থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা হয়। দু’হাত তুলে আল্লাহর দরবারে কান্নায় মশগুল চাওয়া হয় মুক্তি, আর কোরবানি কবুলের প্রার্থনা। কিন্তু ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি নিষিদ্ধ থাকায় তা করা হয়নি।

অপরদিকে বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ঈদের জামাত। এসব মসজিদে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও সিলেট জেলায় ৫ হাজার ২০৩টি জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।

অপরদিকে সিলেট মহানগর এলাকায় এবার প্রায় সাড়ে ১১শ’ মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো এবং সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশ পর্যবেক্ষণ করে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের।

এদিকে ১৭০০ সালে প্রথম দশকে সিলেটের তদানীন্তন ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে, তদারকি ও তত্ত্বাবধানে শাহী ঈদগাহ নির্মাণ করেন। প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখানে দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় এক থেকে দেড় লাখ মুসল্লি এক সাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। কিন্তু করোনা মহামারীর শুরু থেকে টানা নীরবতা বিরাজ করছে শাহী ঈদগাহে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews