মজিবুর রহমান নরসিংদী,
সুতার মূল্য বৃদ্ধিতে টেক্সটাইল বন্ধ হওয়ার উপক্রম
সুতার মূল্য বৃদ্ধির কারণে কাপড়ের জন্য বিখ্যাত নরসিংদী সদর উপজেলা ও প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার বলে ক্ষেত মাধবদীসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জেলার শত শত কাপড় উৎপাদনের টেক্সটাইল বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এরই মধ্যে অনেক মিল মালিকরা ফেক্টরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। কাপড় উৎপাদন করতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকদের মজুরি আরো অন্যান্য খরচ দিয়ে লাভ থাকতেছে না মিল মালিকদের। লোকসান দিতে দিতে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন অনেক মিল মালিকরা।
এর কারণ জানতে চাওয়া হলে মিল মালিকরা বলেন, সুতার দাম দিনদিন বৃদ্ধি পেলেও বাড়ছে না কাপড়ের দাম। প্রতি গজে দুই থেকে তিন টাকা করে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদিত কাপড়।
সুতার দাম অনুযায়ী কাপড়ের দাম পাচ্ছেন না মিল মালিকগণ।
নরসিংদী সদর উপজেলার সাটির পাড়া, চৌয়ালা, মাধবদী থানার নুরালাপুর, বিবিরকান্দী, শিমুলেরকান্দি, দরীকান্দি, ছোট রামচন্দ্রী, আলগী, পাইকারচর, বালুসাইর, আটপাইকা, কোতোয়ালিরচ, কাশিপুরসহ এসব এলাকার বেশির ভাগ কারাখানাই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অনেক কারখানা প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। এতে করে দিন দিন বেকার হয়ে পরছে কারখানার শতশত শ্রমিক কর্মচারী।
এ বিষয় নিয়ে মাধবদী থানার ছোট রামচন্দ্রীর কাপড়ের কারখানার মালিক জামাল উদ্দীন, মজিবর সহ আরো কয়েকজন মিল মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুতার দাম দিন দিন বৃদ্ধি করা হলেও বাড়ছে না কাপড়ের দাম। প্রতি গজে দুই টাকা থেকে তিন টাকা করে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদিত কাপড়।
তারা আরো বলেন, সুতার দাম অনুযায়ী কাপড়ের দাম পাচ্ছি না। সেই জন্য কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। লোকসান দিয়ে আর কত চালাবো কারখানা। আমাদের পুঁজিই শেষ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি যেন আমাদের এই ব্যবসায়ীদের দিকে একটু নজর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দিকে একটু নজর দিলে ব্যবসায়ীরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। নতুবা রফতানিতেও পড়তে পারে এর প্রভাব।