এস এম জীবন :
সেনাবাহিনীর অভিযানে মিরপুর ১ নং মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনের ফুটপাতের চাঁদাবাজ কামালকে গ্রেফতার করছেন দারুসসালাম ক্যাম্পের একটি চৌকস টিম।
১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-১ মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে চাঁদাবাজির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন পএিকায় সংবাদ প্রকাশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এবং প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে সেনাবাহিনী সেখানে গোয়েন্দা নজরদারি চালায় এবং চাঁদাবাজির পেছনে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তৎপর হয়। চাঁদাবাজির এই তাণ্ডবের ফলে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যা ছোট বড় ব্যবসায়ী কেউই এড়াতে পারছেন না। ব্যবসায়ী মহলের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চাঁদাবাজ চুরিপট্টির কামালকে সনাক্ত করা হয়। কামাল দৈনিক বিভিন্ন দোকান হতে অবৈধভাবে ২৫-৩০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। এই চক্রের মূল হোতা কবির নামক জনৈক ব্যক্তি। কোন ব্যবসায়ী চাঁদা প্রদানে অনীহা প্রকাশ করলে কবীর ও কামালের লোকদের মাধ্যমে প্রত্যেককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হত।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, কবির মার্কেটের একচ্ছত্র প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে বহু ব্যবসায়ীকে হয়রানি করেছেন। সেনাবাহিনী এই প্রভাবশালী ব্যক্তির পূর্ববর্তী কার্যকলাপ ও চলাফেরা যাচাই করলে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসে। তদন্তে প্রকাশ, কবির দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ নেতা নিখিলের সাথে কাজ করছেন। তাদের এই তৎপরতায় মিরপুর-১ এলাকায় একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ছোট ব্যবসায়ী থেকে বড় ব্যবসায়ী, কেউই চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পাননি। এই শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্র স্থানীয় জনগণকে দমিয়ে রেখেছে, যারা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
এখন সেনাবাহিনীর এই তৎপরতায় চাঁদাবাজি চক্রের মূলহোতাদের নাম ও তথ্য উঠে আসায় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী মহল কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নিরলস প্রচেষ্টায় এই চক্রের মূলোৎপাটনের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অচিরেই কবীরসহ সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।গ্রেফতারকৃত কামালকে শাহআলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।