1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
সোনার বাংলাকে ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত গড়ে তোলব: শেখ হাসিনা
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ নিয়োগে বৈধতা না থাকলেও,জাহিনুর বেগমের দাবী তিনি প্রধান শিক্ষক  তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্ররা

সোনার বাংলাকে ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত গড়ে তোলব: শেখ হাসিনা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০, ৬.৪৮ পিএম
  • ২৭৬ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেক: আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে সংসদে দেওয়া এক ভাষণে দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের দিনে আমাদের এটাই শিক্ষা, বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীর দিনে জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বেলা ১১টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এ বৈঠক শুরু হয়। সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। মানুষ যাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই মুজিববর্ষ উৎযাপনের সকল কর্মসূচি স্থগিত করেছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। এটা নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তা পালন করতে পারিনি। আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও বিশেষভাবে উদযাপনের কথা ছিল, সেটাও করতে পারলাম না। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সীমিত আকারে উদযাপন করছি। জনসমাগম হবে- এ ধরনের সব কর্মসূচি বাতিল করেছি জনগণের কল্যাণে। আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণটাই হলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এটাকেই আমরা গুরুত্ব দিই।’ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার রোজ গার্ডেনে ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এবার মুজিববর্ষে আওয়ামী লীগের একাত্তরতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক পরিকল্পনা ছিল। করোনা মহামারির কারণে সব পরিকল্পনা সীমিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুঃখকষ্ট মানুষের মাঝে আছে। তবে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ-কৃষকলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছানো, লাশ দাফন থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে মানুষের পাশে আছে। এলাকাভিত্তিক তারা কাজ করে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এখন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এইভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জাতির জনকের নাম একসময় ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। অবশ্য সত্যকে মোছাও যায় না। জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের কাছে নেই। তার অস্তিত্ব বাঙালির হৃদয়ে আছে। তার যে আকাক্সক্ষা, সেটা আমাদের পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংগ্রামের পথে অগণিত নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন। তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষায় আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে আমরা একটা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। স্বাধীন জাঁতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যখন পেলেন, দেশ গড়ে তুলে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় আরেক মীর জাফর খন্দকার মোশতাক ও জিয়ার কুচক্রে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আইয়ুব খানের সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়ে বঙ্গবন্ধু জনগণের ক্ষমতায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তা সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৭৫৭ সালে সিরাজউদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সেই সূর্য উদিত হয় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। জাতির পিতা আজীবন সংগ্রাম করেছেন এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি তার সংগ্রামের পথে অনেক বাধা বিপদ অতিক্রম করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে বাঙালি কিছু পেয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্য সময় পেছনে টেনে রাখার চেষ্টা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews