করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা, স্বাভাবিক না হলে এমসিকিউ অথবা লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি। যথা সময়ে স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। তবে কোন পদ্ধতিতে হবে সেটা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভর্তি পরীক্ষা হবে আগের পদ্ধতিতেই। স্বাভাবিক না হলে এমসিকিউ অথবা লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি করার বিষয়ে ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
প্রতিবছর নভেম্বর মাসের শুরুতেই স্কুলগুলোকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী স্কুলগুলোও ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু করে। ডিসেম্বরে নেয়া হয় ভর্তি পরীক্ষা ও লটারি।
করোনার কারণে এবছর এখন পর্যন্ত কোনো স্কুল ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু না করায় চিন্তিত অভিভাবকরা। তারা বলেন, আমরা কিভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তি করাবো সেই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে আমরা এখনো কোন নির্দেশনা পাইনি। আমরা এ বিষয়ে চিন্তিত।
স্কুলগুলোও এখন পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে কোন নির্দেশনা পায়নি মন্ত্রণালয় থেকে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলেন, কোন কোন ক্লাসে এবং কী প্রক্রিয়ায় ভর্তি করা হবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় আমাদের একটি নির্দেশন দিয়ে থাকেন। আমাদেরকে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আমরা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত না নিলেও বেশ কিছু বিকল্প ভেবে রাখা হয়েছে বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে তাহলে আমরা আগে যেভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতাম সেভাবে নেয়া যায় কি না তা ভাবছি। তা না হলে আমরা বিকল্প কিছু ভাববো। যদি পরিস্থিতি ঠিক না হয় তাহলে এমসিকিউ বা লটারির মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এতে সময় কম লাগবে স্বাস্থ্যবিধি মানাটাও সহজ হবে। আমরা সময়মতই ভর্তি পরীক্ষা নিবো এবং শেষ করবো।
এবার গেলো ১০ বছরের মত বই উৎসব না হলেও সময়মতই শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।