1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে কলাপাড়া ইউএনও’র চাঁদাবাজি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে কলাপাড়া ইউএনও’র চাঁদাবাজি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ২.৪০ এএম
  • ২৩৬ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পর এবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সরকারী ১ লাখ টাকা বরাদ্দের পরও অবৈধ ভাবে লাভবান হতে ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক কলাপাড়ায় সেবাদানকারী রাষ্ট্রায়াত্ত ও বেসরকারী ব্যাংক, এনজিও, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ইটভাটি, বিভিন্ন সরকারী অফিস, দলিল লেখক সমিতি সহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অধিকাংশ চাঁদার টাকা ইএনও’র অফিস সহকারী আবু জাফর কালেকশন করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকায় ইউএনও’র চাঁদাবাজির এ বিষয়ে অনেকে মুখ খুলতে না চাইলেও কেউ কেউ ফাঁস করে দিয়েছেন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে ইউএনও’র চাঁদাবাজির এ তথ্য।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্তমান সরকার দেশব্যাপী নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছিলেন। সারাদেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হয় দিবসটি। ২৬ মার্চ প্রত্যুষে তোপধ্বনি,

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য অর্পন, আলোচনা সভা, শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রামাণ্যচিত্র, বঙ্গবন্ধুর উপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ভলিবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা সহ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।

সরকারী বরাদ্দ প্রাপ্ত হওয়ার পরও স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক কলাপাড়ায় সেবাদানকারী রাষ্ট্রায়াত্ত ও বেসরকারী ব্যাংক, এনজিও, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ইটভাটি, বিভিন্ন সরকারী অফিস, দলিল লেখক সমিতি সহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সহকারী পরিচালক সিপিপি, সভাপতি-সম্পাদক হোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন, রাইসমিল মালিক সমিতি, স্বর্ন ব্যবসায়ী সমিতি, স-মিল মালিক সমিতি, বাস মালিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, ইটভাটি মালিক সমিতি, ব্যাংক ম্যানেজার, এনজিও প্রধানদের নিয়ে ১৪ সদস্যের একটি অর্থ উপ-কমিটি গঠন করেন ইউএনও।

সূত্র জানায়, উপজেলার ৩০টি ইটভাটি থেকে ৫হাজার করে দেড় লক্ষ, বেসরকারী ও রাষ্ট্রায়াত্ত ১৫টি ব্যাংক থেকে ৩ হাজার করে ৪৫ হাজার, ২৯টি এনজিও থেকে ১হাজার করে ২৯ হাজার, কলাপাড়া পৌর শহরের ১০টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে ২ হাজার করে ২০ হাজার, সাব রেজিষ্ট্রী অফিস ও দলিল লেখক সমিতি থেকে ১০ হাজার সহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করে

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তবে চাঁদার বিপরীতে কোন ধরনের রশিদ দেয়া হয়নি। আর যারা চাঁদা দিতে রাজি হয়নি, তাদের নানাভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দন্ড প্রদানের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। ইউএনও’র অফিস সহকারী আবু জাফরএ চাঁদার টাকা উত্তোলন করেছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ভুক্তভোগী।

ইউএনও’র স্বাধীনতা দিবসের চাঁদা আদায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত একটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ’স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য ইউএনওকে আমরা ব্যাংক থেকে চাঁদা দিয়েছি। ব্যাংকের কোন বরাদ্দ না থাকার পরও পকেট থেকে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।’ বেসরকারী অপর এক ব্যাংক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেউ ৫ হাজার আবার কেউ ৩ হাজার টাকা হারে চাঁদা দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এক মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ’আমাদের ডায়াগনষ্টিক এ্যাসোসিয়েশনের কাছে আমরা ১০টি ল্যাব থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি।’ একজন ইটভাটি মালিক বলেন, ’আমরা ৫ হাজার টাকা করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য দিয়েছি।’

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, ’এনজিও থেকে ১হাজার টাকা করে ইউএনও’র অফিস সহকারী আবু জাফরের কাছে দিয়েছি। এর বিপরীতে কোন রশিদ দেয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ কালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, ’ব্যাপারটি আমিও শুনেছি। ঘটনা সত্য হলে তা অবশ্যই স্বাধীনতা বিরোধী ও গর্হিত কাজ বলে আমি মনে করছি। আমি জানি, প্রতি উপজেলায় সরকারী ভাবে ১লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ হাজার পঞ্চাশেক।’

ইউএনও’র অফিস সহকারী মো: আবু জাফর চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক’র বক্তব্য জানতে তার মুঠো ফোনে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

পটুয়াখালী ডিসি  মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ’এ বিষয়টি আমার নলেজে নাই। আপনার কাছ থেকে আমি প্রথম জেনেছি।’

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো: সাইফুল হাসান বাদল বলেন, ’বিষয়টি আমি দেখবো। এবং প্রশাসনের দিক থেকে এ বিষয়ে যে ইনস্ট্রাকশন দেয়া দরকার সে ইনস্ট্রাকশন আমি দেবো।’
Surjodoy.com

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews