জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও আরো ৩৫টি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ইসলামী মহাজোট এবং ৩১ দলের সমন্বয়ে বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) নিয়ে ৬৮ দলের জোট গঠন করা হয়। এটি গঠনের ১০ দিনের মধ্যে জোট ছেড়ে চলে যায় ১১ দল। এরপর ৫৭ দলের সমন্বয়ে চলতে থাকে জাপার জোট। তবে এরশাদের মৃত্যুর পর হদিস নেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সর্ববৃহৎ এই জোটের।
জাপার এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর পার্টি একাই চলতে পারে না। সেখানে জোট চালাবে কিভাবে? একটা মিটিং ডাকলেও ৫৭ দলের ১০০ জন নেতা উপস্থিত থাকবেন। তাতে অন্তত ২০ হাজার টাকা খরচ আছে। জোট থাকলে বছরে চারটা সভা করতে হবে। এতে যে খরচ হবে তা ব্যয়ের ক্ষমতা বর্তমান জাপার নেই। তাছাড়া পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। এর মধ্যে জোট বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াতে পারে। এরশাদের মৃত্যুর পর বর্তমান চেয়ারম্যান যোগাযোগ রাখেননি জোট নেতাদের সঙ্গে।
তাই ‘সম্মিলিত জাতীয় জোটের এখন কোনো হদিস নেই।
জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে দেশ সংকটের মধ্যে আছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিও নেই, তাই জোটের কর্মকাণ্ডও নেই। দেশের এই দুর্যোগ শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর বলা যাবে জোট আছে না পার্টি ছেড়ে চলে গেছে? রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। তাছাড়া কেউতো জোট বিলুপ্তির ঘোষণা দেয়নি। মহামারি শেষে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী রূপে আবির্ভূত হবে।