নুর হোসেন, হারাগাছ, রংপুর প্রতিনিধিঃ
করোনাকালে বাজার স্বাভাবিক থাকলেও প্রয়োজনীয় নিত্যপন্য চাল,সবজির মূল্য লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে। তবে ডিম ও ডালের মূল্য স্থিতিশীল থাকলেও ব্রয়লার মুরগীর দাম কিছুটা কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত ক্রেতারা। বাজারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি থাকলেও ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কোন মনিটরিং নেই । বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বন্যার কারনে সারাদেশে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। যার প্রভাব বর্তমান বাজারের মূল্য বৃদ্ধি, হারাগাছ থানার অর্ন্তগত বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হওয়া পটল, আলু, বেগুন, করলা, ঢেঁরস, পেঁপে, কাচামরিচ, ঝিঙাসহ, প্রায় সবধরনের সবজির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
থানার পাইকার বাজার, মেনাজ বাজার, মায়া বাজার, খানসামা হাট, সাহেবগঞ্জ বাজার চাঁদকুটি বাজার, চওড়ার হাট,মাছহাড়ি ও সৎবাজার সহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মান ও বাজারভেদে করলা প্রতি কেজি ৮০ -৯০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, কচুরলতি ৪৫-৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, ঢেঁরস ৫০-৫৫ টাকা, দুধকুষি ৭৫-৮০ টাকা, আলু ৩৫-৪০ টাকা কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, পিয়াজ ৩০ টাকা কেজি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। গরু ও খাসির মাংস স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম একটু কমে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে চালের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে হাইব্রিড ও গুটি স্বর্ণা ৩ হাজার টাকা বস্তায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিকন চালের মধ্যে বিআর২৮ (৫০ কেজি) ২৪শ, বিআর২৯ ২২শ, কাটারীভোগ ২৬শ থেকে ২৭শ ও নাজির শাইল চাল ২৯শ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী শরিফুল,আনোয়ার ও ওসমান বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই সবজির দাম বৃদ্ধি।
এখন বেশির ভাগ সবজির মৌসুম শেষ। কাজেই সহসা সবজির মূল্য কমার সম্ভাবনা খুবই কম। বাজার করতে আসা মোরশেদ, রহিম, শাহিন রাশেদ জানান, আসলে সবকিছুই কন্ট্রোলের বাইরে রয়েছে। করোনার সময় হাতের অবস্থা মোটেও ভাল নয়। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। এর সাথে পাল্লা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়েই চলছে। আমরা সাধারন মানুষ চরম হতাশে। সব কিছুরই পরিমান কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের উদাসীন মনিটরিংয়ের কারনে আমরা কোন সুফল পাচ্ছি না । বাজার করে কোন শান্তি নাই। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, আমরা বাজার মূল্য বৃদ্ধির খবর পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা সহ জরিমানাও করে থাকি।
Leave a Reply