নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার আবহের মধ্যেই যখন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের রীতি মতো দেবতা মেনে পূজা করছেন ভারতের বিশাল সংখ্যক মানুষ, সেখানে হাসাপাতালের মধ্যেই কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের বিরুদ্ধে।
হাসপাতালের সেই ‘কাণ্ডের’ ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। ওই হাসপাতালেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ডেপুটি সুপার অনন্য ধর।
তার বিরুদ্ধে কাজের টোপ দিয়ে নারীদের যৌনতার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি অর্থের বিনিময়ে নারীদের নিয়ে এসে সেখানে সময় কাটানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাতে ফেসবুকে এক নারী ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। এরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালের একটি ঘরের মধ্যেই এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন এক ব্যক্তি। নারীর আচরণে স্পষ্ট, বিষয়টিতে তার একেবারেই মত নেই। ৫২ সেকেন্ডের সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অনন্য ধর।
কারণ ভিডিওর ওই ব্যক্তি তিনিই। যদিও ভিডিওটি বেশ পুরনো। অনন্যকে দেখা যাচ্ছে শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে হাফ সোয়েটারেও।
বর্তমানে নিজের কর্মস্থল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনন্য।
হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচ. ডি.ইউ)-তে ভর্তি আছেন তিনি। বর্তমানে স্থিতিশীল তার শারীরিক অবস্থা। তবে, এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভিডিও সত্য হলে অনন্য ধরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ভিডিওটি যদি মিথ্যা হয়, তাহলে যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের ফল ভুগতে হবে।
যদিও হাসপাতালের এ ধরনের অবস্থা দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের মধ্যে এ ধরনের কার্যকলাপ চলে আসছে, কেউ কিছু জানেন না?
ভিডিওটি দিয়ে অনন্য ধরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই নারী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।