জিহাদ হোসাইন,লক্ষীপুর:
লক্ষীপুর সদর উপজেলার চররমনী ইউপির করাতির হাটের হাট থেকে কাদেরিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কি:মি রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা।রাস্তাটিতে বড় বড় গর্তের কারনে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।অন্যদিকে,পথচারী,সিএনজি চালক,ব্যাবসায়ী, হাসপাতালের ইমারজেন্সি রুগী যাত্রা পথে চরম ভোগান্তি পৌহাতে হচ্ছে।লক্ষ্মীপুর শহরে পৌছাতে যেখানে ৩০ মিনিট সময় লাগত,সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগে যায়।স্থানীয়দের দাবি চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল রাস্তাটির মেরামতের কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ জনদূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
এনিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,প্রায় ১০ বছর ধরে করাতির হাট বাজার থেকে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার মেইন সড়কটি কোনো ধরনের মেরামত না করায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,হাসপাতালের ডেলিভারি রুগী,কৃষকের ফসল,ব্যাবসায়ীদের মালামাল আনা-নেওয়া সহ নানান সমস্যার স্বীকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
সিএনজি চালকরা বলেন,পুরো রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত হওয়ায় সিএনজির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়।সিএনজির এক্সেল ভেঙে দুর্ঘটনার মত ঘটনা ঘটেছে।অনেক সময় ইমারজেন্সি রুগীকে সময়মত না নিতে পারলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা হয়ে দাড়ায়।গর্ভবতী মহিলাদের ডেলিভারির সময় হাসপাতাল নেওয়ার পথে লম্বা সময় লেগে যায়।এতে বিপদে পড়ে যায় গর্ভবতী মহিলারা।
পথচারীরদের কয়েকজন বলেন,৩০ মিনিটের রাস্তাটি এখন দেড় ঘন্টায় পাড় হতে হয়।চেয়ারম্যান,মেম্বারদের অনেকবার বলার পরও সরকারের কাছে রাস্তাটির করুন চিত্র তুলে ধরেনি।রাস্তার ব্যাপারে কোনো আবেদন না করায় জনগন জনদূর্ভোগের স্বীকার।
পথচারীদের একজন হতাশা ব্যাক্ত করে বলেন,১০বছরের বেশি সময়ধরে রাস্তার এই দশা রয়ে গেছে।আগামী বিশ বছরেও মনে হয়না রাস্তার উন্নয়নের মুখ দেখবো।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রাস্তাটি আমার কাজের অন্তর্ভুক্ত না,এটা এমপি সাহেবের কাজ।দুই তিন কি: মি: রাস্তা হলে ইটের সলিংয়ের কাজ করি।এমপি সাহেবের কোনো বরাদ্দ ছিল কিনা?এমন প্রশ্নের সুদুত্তরে বলেন,এমপি সাহেব কেনো রাস্তাটি করেনি এবিষয়ে আমি জানি না।
যুবলীগের সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি শাহাজালাল মোল্লা বলেন,বিগত ১০ বছরে সাবেক এমপি ও বর্তমান এমপি এই রাস্তার কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় করাতির হাট মানুষ জনদুর্ভোগের স্বীকার।আমাদের চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল নিজের রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারনে রাস্তার কোনো উন্নয়ন করেনি।এবিষয়ে চেয়ারম্যান’কে অনেকবার জানাইছি।
Leave a Reply