আমির হোসেন বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত সেই চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে দুর্নীতির একটি মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আজ রোববার দুপুরে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় পটুয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে তাঁরা জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন তঁদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির জন্য সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরি জন্য গঠিত কনকদিয়া ইউনিয়ন কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, আশরাফুল আলম, মেজবাহ উদ্দিন, ইউপি সচিব মজিবর রহমান এবং টেক অফিসার বাউফলের তৎকালীন ও বর্তমানে বরিশালের বাখেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান।
চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার পদাধিকার বলে ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন । বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আরিফুল হক টিটু।
আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে নিয়ম বর্হিভুতভাবে ২৩৩ জন বিত্তশালী, সরকারি কর্মচারি, স্কুল শিক্ষক ও একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি অভিযোগ দাখিল করা হলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দুদকের উপসহকারি পরিচালক মানিক লাল দাস ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি তালিকা প্রস্তুত কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্ত চলাকালে ২০১৮ সালের ৩ মে কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার তালিকা তৈরিতে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে ২৩৩ জন তালিকাভুক্ত সুবিধাবোগীর মধ্যে বিতরনকৃত চালের মূল্য বাবদ মোট ১,৮৯,৪০৮ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। পরবর্তীতে তদন্তকারি কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
কিন্তু আদালত ওই চুড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহন না করে অভিযোগটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়ে দুদকে পাঠায়। দ্বিতীয় দফায় দুদকের উপসহকারি পরিচালক আরিফ হোসেন মামলাটি তদন্ত করে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে চার্জশীট আদালতে দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, সালিশ বেঠকের নামে গত ২৫ জুন এক কিশোরীকে বিয়ের একদিন পরে আবার তালাক দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার।