ডেস্ক: এমন হার কীভাবে হজম করবে বার্সেলোনা? চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের লজ্জায় ডুবিয়েছে বায়ার্ন। লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজদের গোল বন্যায় ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
লিসবনে শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে ৮-২ গোলে জিতেছে দলটি। জোড়া গোল করেন টমাস মুলার ও ফিলিপে কৌতিনিয়ো। একটি করে রবের্ত লেভানদোভস্কি, সের্গে জিনাব্রি, ইভান পেরিসিচ ও জশুয়া কিমিচ।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বে যেকোনো দলের বিপক্ষে এটি বার্সার সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৩০ মিনিটেই ৪-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। বায়ার্নের আক্রমণভাগের সামনে রীতিমত অসহায় মনে ছিলেন জেরার্ড পিকে-ক্লিমে লংলেরা। ভাগ্যিস লেভাদোস্কিরা কিছু সুযোগ নষ্ট করেছিলেন, না হয় ১০ গোলও হজম করতে পারতো বার্সেলোনা।
চতুর্থ মিনিটে টমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। সপ্তম মিনিটে ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। পরের মিনিটে বার্সার লিড বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু তার প্রচেষ্টা সহজেই ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার।
নবম মিনিটে মেসির বাঁকানো শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ২০তম মিনিটে একক প্রচেষ্টার ডিবক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে সেটি সরাসরি চলে যায় নয়্যারের কাছে।
ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াইটা ছিল সমান-সমান।এরপরই বার্সার ওপর স্ট্রিমরোলার চালায় বায়ার্ন।
২২তম মিনিটে সার্জ নাব্রির অ্যাসিস্টে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন ইভান পেরিসিচ। ২৭তম মিনিটে নিজেই গোলদাতার ভূমিকায় নাব্রি। চার মিনিট পর মুলারের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধানটা হয়ে যায় ৪-১!
বিরতির আগ মুহূর্তে ব্যবধান কমানোর সুযোগও এসেছিল। কিন্তু সুয়ারেজ আবারো গোল করতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অভাবনীয় কিছু করতে হতো বার্সেলোনাকে। ৫৭ মিনিটে গোল করে ভক্তদের মনে আশা জাগান সুয়ারেজ। তবে ৬ মিনিট যেতে না যেতেই পঞ্চম গোল আদায় করে নেয় বায়ার্ন। ডিবক্সে নেলসন সেমেদোকে ঘোল খাইয়ে জশোয়া কিমিখকে পাস দেন আলফোন্সে ডেভিস। কিমিখ সহজেই বল পাঠান জালে।
৮২ মিনিটে রবার্ট লেভানদোস্কির হেডে আসে বায়ার্নের ষষ্ঠ গোল। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল বায়ার্ন। ৮৫ মিনিটে বদলি নামা ফিলিপ কুটিনহোর গোলে সেই সংখ্যাটাও ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে আরো এক গোল করেন বার্সারই ফুটবলার কুটিনহো। সেই কুটিনহোই পরে ব্যবধান করেন ৮-২। এই ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ। ইতিহাসের বাজে এক হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।