কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ি ইউনিয়নে দুঃস্থ্য, হতদরিদ্র ও বন্যার্তদের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ’র কার্ড পেলেও চাল পায়নি অনেকে।
এইসব কার্ড নিয়ে মেম্বার চেয়ারম্যানের বাড়ি-বাড়ি এবং পরিষদে ঘুরছেন সুবিধাভোগীরা। যারা পেয়েছেন তাদের ১০কেজির পরিবর্তে দেয়া হয়েছে ৩/৮ কেজি করে চাল।
এতে প্রতিবাদ করায় অনেকেই চেয়াম্যানের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযাগ উঠেছে।
উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানলেও ব্যবস্থা নেয়নি এখনো।
শতকরা ৭০ ভাগ দ্ররিদ্র মানুষের জেলা কুড়িগ্রামে করোনায় কাজ হারানোর পর বন্যায় বন্দি প্রায় দু’ মাস।
খাদ্য সংকটে থাকা এসব বানভাসী মানুষের কষ্ট কমাতে প্রতি বছরের ত্রাণ সহযোগীতা দেন সরকার।
পাশাপাশি ঈদুল আজহায় উপলক্ষে ৪লাখ ২৮ হাজার ৫২৫ জন দুঃস্থ্য, হতদরিদ্র ও বন্যার্ত মানুষের জন্য জন প্রতি ১০কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়।
ভিজিএফ’র এই চাল বিতরণে নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়নটিতে ৫হাজার ৫১২জন সুবিধাভোগীর বিপরিতে ৫৫.১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
গত ২৬ জুলাই বিকেল থেকে বিতরণে চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় কার্ডধারীদের ১০কেজির পরিবর্তে দেয়া হয় ৩ থেকে ৮ করে কেজি চাল।
চাল কম দেয়ার প্রতিবাদ করায় অনেক সুবিধাভোগী চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেবের হাতে হতে হয়েছে লাঞ্চিত। এদিকে কার্ড পেলেও এখনো চাল পাননি অনেকেই।
এসব কার্ড নিয়ে চালের আশায় এখনো ঘুরছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে।
বেরুবাড়ি ইউপি সদস্য দেলবর হোসেন সুবিধাভোগীদের অভিযোগের কথা স্বীকার করেন বলেন, কার্ডধারীদের এখনো অনেকে চাল না পাওয়ায় বিষয়টি ইউএনও কে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।
বেরুবাড়ি ইউপি সচিব আব্দুল কুদ্দুস বলেন, পরিষদের বিষয়ে প্রভাব খাটিয়ে একতন্ত্র ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যন।
বিতরণে অনিয়ম এবং চাল কম দেয়ার কথা অস্বীকার করে বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব বলেন, আমাকে ফাসানোর ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর আহমেদ মাছুম বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভিজিএফ’র বরাদ্দ ছাড়াও ইউনিয়নটি বন্যায় ৩৯.৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ চাল বিতরণেও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাগেশ্বরী উপজেলায় ৮ শ ৩৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল এবং দু’দফা বন্যায় ৯৬ মেট্রিক টন ত্রাণ এবং ৮লাখ ৮০ হাজার জিআর ক্যাশ, এক লাখ ৯৫হাজার টাকার শিশু খাদ্য, এক লাখ ৬০হাজার টাকার গো-খাদ্য এবং ১৭৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..