1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’ লাইনটি বলেছেন কবি জীবনানন্দ দাশ
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
মাগুরায় ৩ সাংবাদিক সহ ৫৯ ছাত্র লীগ,যুবলীগ নেতা,কর্মীর নামে মামলা রিক্রুটিং এজেন্সির পরিচালক মোস্তাক’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ১১২ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক-০২ ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ সম্পর্কে নবজাতক শিশুকে ৮শত টাকায় বিক্রি করলেন প্রতিবন্ধী মা পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রবিউল ১৫ বছর পর বাবার জানাযায় গ্রামে জেলা প্রশাসকের সাথে বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নড়াইল জেলা ও মহানগর কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ ভারত থেকে ফেরার পথে চার বাংলাদেশে আটক বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না : রিজভী মিরপুর গৃহায়ণের ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজুর বেসুমার সম্পদ সাভার পৌরসাভার ব্যাংকলোনী এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ময়লার নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’ লাইনটি বলেছেন কবি জীবনানন্দ দাশ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০, ৩.২৫ পিএম
  • ২৯১ বার পঠিত

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’ লাইনটি বলেছেন কবি জীবনানন্দ দাশ। ঠিকই বলেছেন তিনি। পৃথিবীর গভীরতর অসুখ চলছে। জানি না এই অসুখ কবে নির্মূল হবে? নাকি আদৌ মুক্তির সম্ভবনা নেই। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশে কোন তত্ত্ব ও পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে- সে বিষয়ে সরকারপ্রধান হিসেবে গণতন্ত্রের মানসকন্যা এদেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল, আস্থার প্রতীক, অদম্য সাহসী নির্ভীক জননেত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবেন, এটা এদেশের সকল মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। এক্ষেত্রে শুধু প্রয়োজন হবে মানুষের সহযোগিতা। এ সহযোগিতা স্বাস্থ্যবিধি মানার, ধৈর্য্য ধারণ করার, গুজবে কান না দেয়ার এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার উপর আস্থা ও ভরসা রাখার সহযোগিতা। ২০২৩ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। সরকার সে পথে চলছে। জীবন ও জীবিকার সাথে সমাজের এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত পরিসরে সব চালু হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা খুব প্রয়োজন। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যেসব নিয়ম কানুন অনুসরণ করা হয় সেগুলোকেই স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে অভিহিত করা হয় বলে আমরা জানি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘স্বাস্থ্যবিধি বলা হয় সেসব নিয়মাবলি ও অনুশীলনকে যেগুলো সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।’ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বলতে দৈহিক পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতাকে বোঝানো হয়। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এ দুটো বিষয়কে একই মনে করেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি একটি ব্যাপক বিষয়। এতে যেমনিভাবে ব্যক্তিগত বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত যেমন- গোসল করা, হাত ধোওয়া, নখ কাটা, কাপড় ধোওয়া ও পরিবর্তন করা ইত্যাদি। তেমনি ঘর, কর্মস্থল এমনকি শৌচাগার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখাও এর অন্তর্ভুক্ত। গবেষণা বলছে, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার প্রচলন যদি ব্যাপকভাবে করা যায় তাহলে ডায়রিয়ায় মৃত্যুর হার শতকরা ৫০ ভাগ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ প্রায় ২৫ ভাগ কমানো সম্ভব। সাবান দিয়ে হাত ধুলে ত্বকের ইনফেকশন, চোখ ও কৃমির সংক্রমণও প্রতিরোধ করা যায়। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির অনুশীলন যেমন- নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার জায়গায় ময়লা ফেলা, মেঝে বা দেয়াল পরিষ্কার রাখা, গৃহপালিত পশুর যত্ন নেওয়া ইত্যাদি। স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোতে রোগ সংক্রমণ ও পরিবারে একজন থেকে রোগ অন্যজনের শরীরে বিস্তারের ধারা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ। আমাদের প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিধির বিষয়গুলো যাপিত জীবনে ছিল। এখনকার নাগরিক সভ্যতায় স্বাস্থ্যবিধির বিষয়গুলো উপেক্ষিত হয়েছে। কোভিড-১৯ কি আমাদের দেখিয়ে দিলো- না, এটি পৃথিবীর অসুখ না। এটি মানুষের অসুখ, মানুষের ভেতরের অসুখ; বোধের অসুখ। আমরা গত এক শতাব্দীতে পৃথিবীর ওপর কত অত্যাচারই না করেছি। ১৭৫০ সালের পর থেকে বাতাসে যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়েছে তার অধের্কের বেশি বেড়েছে গত ৫০ বছরে। বিজ্ঞান প্রতি মূহুর্তে এগোচ্ছে; কিন্তু বিশ্বসংসারের সব কিছুর সমাধান দিতে পারেনি। আর আমরা কি বিজ্ঞানের কথা মতো চলেছি? অনেক রোগের টিকা আবিষ্কার করা গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রোগের টিকা আবিষ্কার করা যায়নি। করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি বহুপাক্ষিক। সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এখানে খুবই জরুরি। শুধু ডাক্তার, নার্স এই রোগের চিকিৎসা করতে পারবে না। তার চেয়ে বেশি জরুরি রোগের বিস্তার রোধ করা। সেই কারণেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমরাও মেনে চলছি। কিন্তু অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছি, অনেকেই মানছি না। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা ‘প্রাণ’ আমরা প্রায় সবাই পাঠ করেছি। ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে/মানবের মাঝে বাঁচিবারে চাই।’ কিন্তু মানুষ কীভাবে বাঁচতে চায়? সে চায় আনন্দ উজ্জ্বল পরমায়ু। সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকাই প্রকৃত বেঁচে থাকা। করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে বাঁচতে হলে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাঁচতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews