1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
যুক্তরাষ্ট্রে উত্তাল বিক্ষোভের মধ্যেই থানায় আগুন
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা স্বামীর কর্মস্থল ইসলামী ব্যাংকের সামনে অনশনরত স্ত্রীর বিষপান, পুলিশ সদস্যদের ভূমিকায় উদ্বিগ্ন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব না, কফিন ধরে শিক্ষার্থীদের শপথ সংস্কার আন্দোলন সাধারণ ছাত্রদের হাতে নেই, এর নেতৃত্বে এখন ছাত্রদল-ছাত্রশিবি : কাদের চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মহানগর বিএনপির গায়েবানা জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ পবিত্র আশুরা, কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল দিন চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ৩ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় স্কুল-কলেজ-পলিটেকনিক বন্ধ ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রে উত্তাল বিক্ষোভের মধ্যেই থানায় আগুন

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০, ৭.৪০ পিএম
  • ২৩৮ বার পঠিত

ডেস্ক: কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিস। ইতোমধ্যেই বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা মিনিয়াপলিসের একটি থানায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ওই অগ্নিসংযোগের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সিএনএন জানিয়েছে, মিনিয়াপলিসের বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। তাদের অনেককে সংলগ্ন বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায়। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদও বিক্ষোভ শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

সিএনএন-এর সাংবাদিক সারা সিডনার জানান, একদিকে থানার ভেতরে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে চলছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা উল্লাস করছে। পুলিশের বেষ্টনী ঘিরে লোকজন আতশবাজি করছে। তবে কোনও সাইরেনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের কোনও তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।

ঘটনাস্থল থেকে সিএনএন-এর প্রতিবেদক জোশ ক্যাম্পবেল বলেন, পুলিশ হিসাব কষেই বলপ্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা হয়তো এ কারণে যে, পুলিশ জানে তাদের উপস্থিতি উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে তুলবে। এতে করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে।

জোশ ক্যাম্পবেল বলেন, এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি। আমার মনে হয় পুলিশও সেটা অনুধাবন করছে।

২০২০ সালের ২৫ মে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে খুন করলে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্রতা পায়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন। ভিডিওতে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। তিনি বারবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বলছিলেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’

কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন জর্জ ফ্লয়েড। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে স্থানীয়রা রাস্তায় নামলেও পরে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢল নামে।

জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে যা ঘটেছে তাকে আপত্তিকর হিসেবে উল্লেখ করেছেন মিনেসোটর সেন্ট পল এলাকার মেয়র মেলভিন কার্টার। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভকে ‘বোধগম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

২০১৯ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত সহস্রাধিক

জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নাগরিকদের নিহতের উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে এনেছে। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশটিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক হাজার ১৪ জন। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ।

ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিন গুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews