1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
ইসলামের পরিভাষায় বেলায়াত কাকে বলে বা বেলায়াত কি
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রমের  নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর  সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী লক্ষ্মীপুরে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ বরুড়ায় বই ও কসমেটিক বিক্রেতাকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড,  স্বামী’র কারাদণ্ড বদলগাছীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠ মিস্ত্রিকে সহায়তা দিলেন সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী দেবীদ্বারে আনোয়ারাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে গাড়িতে আগুন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অস্থির চট্টগ্রামের মসলার বাজার বরগুনা উপজেলার হলদিয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভেঙ্গে নতুন ৫ ইউনিয়ন করার দাবী এলাকাবাসীর রাউজানে বড় ভাইয়ের হাতে আপন ছোট ভাই খুন

ইসলামের পরিভাষায় বেলায়াত কাকে বলে বা বেলায়াত কি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯.৫২ এএম
  • ৮৬৩ বার পঠিত

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় আলোচনায় এক শ্রেণীর ব্যক্তিকে যারা স্বল্প শিক্ষিত এবং বিভিন্ন দরগাহ ও সুফিবাদে ( সাদুবাধে ) বিশ^াসী, তারা বেলায়াত ও মারেফাত নামে দু’টি অধ্যায়ের আলোচনা শুরু করে। যে আলোচনার মাধ্যমে তারা ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি পালন করা থেকে নিজেদেরকে বাচাঁনো বা লুকানোর চেষ্টা করে।
আজকে আমরা বেলায়াত কাকে বলে, বেলায়াতের অর্থ ও এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
বেলায়াত একটি আরবী ভাষার শব্দ, আরবী ভাষায় শব্দটি ওয়ালাইয়াত হিসেবে উচ্চারিত হয়, এর আভিধানিক অর্থ বন্ধুত্ব ।
অলী শব্দটি একবচন এর বহুবচন আওলীয়া। ইসলামী পরিভাষায় এর আভিধানিক অর্থ হল বন্ধু বা নিকটবর্তী।
তাই ইসলামী পরিভাষায় বেলায়াত এবং ওলী শব্দদ্বয় ব্যবহৃত হয় আল্লাহর বন্ধুত্ব ও আল্লাহর বন্ধু বা নিকটবর্তী অর্থে।
আরবী ভাষায় তরীক বা তরীকত অর্থ হল রাস্তা। ফার্সী ভাষায় রাস্তাকে “ রাহ” বলে। তাই ফার্সি ভাষার ‘রাহে বেলায়াত’ আরবী ভাষায় হয় ‘ তরীকুল ওয়ালাইয়াত, যার বাংলা অর্থ হয় বন্ধুত্বের রাস্তা।
আর আওলীয়া আল্লাহ বা ওলী আল্লাহ এর বাংলা অর্থ হল আল্লাহর বন্ধু বা নিকটবর্তী।
ইমান এর শাব্দিক অর্থ বিশ^াস। ইসলামের পরিভাষায় ইমান হল, তাওহীদ ও রিসালাতের প্রতি বিশুদ্ধ, শিরক ও কুফর মুক্ত বিশ^াস কে ইমান বলে।
তাকওয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ হল আত্বরক্ষা করা। ইসলামের পরিভাষায় তাকওয়া হল, যে কর্ম বা চিন্তা করলে মহান আল্লাহ অসন্তুষ্টি হন, সেসব কর্ম বা চিন্তা বর্জনের নাম তাকওয়া। বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদদের পরিভাষায় তাকওয়া হল, আল্লাহ ও তার রসূলের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ, অবৈধ ঘোষিত বা অনুৎসাহিত সকল পাপ কর্ম বর্জন করাকে তাকওয়া বলে।
তাই উপরে উল্লেখিত ভাষ্য থেকে আমরা বুঝতে প্রত্যেক মুসলীমই আল্লাহর অলী বা বন্ধু। ইমান ও তাকওয়ার গুন যার মধ্যে যত বেশী থাকবে, তিনি ততবেশী আল্লাহর অলী, বন্ধু বা নিকটবর্তী।
হানাফি মাজহাবের অন্যতম চিন্তাবিদ বা ফকিহ ইমাম আবু জাফর তাহাবি ‘ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের’ আক্বীদাহ বা বিশ^াস বর্ননা করে বলেন, সকল মুমিন করুনাময় মহান আল্লাহর অলী। তাদের মধ্যে থেকে যে যত বেশী আল্লাহর অনুগত ও কুরানের অনুসরনকারি, তিনি ততবেশী আল্লাহর নিকট সম্মানিত। ( ইমাম তাহাবি আল আক্বীদাহ, পৃ : ৩৫৭ – ৩৬২)
তাই ইমান ও তাকওয়া এ দুু’টি গুন যার মধ্যে যতবেশী এবং যত পরিপূর্ণ হবে, তিনি ততবেশী ( রাহে বেলায়াত বা তরিকুল ওয়ালাইয়াত ) বন্ধুত্বের রাস্তায় অগ্রসর ও ততবেশী আল্লাহর ওলী বা আল্লাহর নিকটবর্তী হিসেবে বিবেচিত হবে।

লেখক : যোবায়ের হোসাইন ( সাংবাদিক ও লেখক )

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews