সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে ঈদের জামাত শেষে গ্রামের দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ২ জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে। নিহতের নাম মো. আবুল কাশেম(৩০)। তিনি মাইজখলা গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে খালের পাড়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে দোয়ারা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত শেষে জুতা পরিবর্তন নিয়ে মাইজখলা গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে জালাল শাহ (৪৫)’র সাথে একই গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫) এর কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে খালের পাড়ে সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনের পতিত জমিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ২ জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন।
এদের মধ্যে জালাল শাহ’র পক্ষের মো. আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আজ বিকেলে আবুল কাশেম মারা যান। এছাড়াও উভয়পক্ষের আহতদেরকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে ১৬ জনকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।