1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
ওয়ালিউরের হাতে জিম্মি রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের বানিজ্যিক বিভাগ
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

ওয়ালিউরের হাতে জিম্মি রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের বানিজ্যিক বিভাগ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩, ১২.৪২ এএম
  • ৮৯ বার পঠিত

মোহাম্মদ জুবাইর

বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রার শুরু থেকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের রেল পরিসেবা বিশ্বের উল্লেখযোগ্য লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও স্বাধীনার দীর্ঘ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাঙ্খিত লাভজনক প্রতিষ্ঠানের মুখ দেখা যায়নি। ৫০ বছরের অধিক সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হলেও লাভের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ রেলওয়ের।

 

ইতিমধ্যে বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়েকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে নানা চেষ্টা করে বার বার ব্যার্থ হচ্ছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, রেলওয়ের কিছু আসাধু কমকর্তার কারনে বাংলাদেশ সরকার এবং রেল মন্ত্রণালয় শত চেস্টায় ও থামছে না বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্নীতি। এই সমস্ত আসাধু কমকর্তার লোলুপ কুনজরে কুক্ষিগত বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাদের দুর্নীতির কাছে বাংবার ভেস্তে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের নানা পদক্ষেপ। স্বয়ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী কেউই পারছেন তাদের রেলওয়ের এই সমস্ত দুর্নীতিবাজদের। দুর্নীতি থামবে বা কি করে যেখানে ঘরের শত্রুই বিভিষন।

 

সূত্র বলছে, বাংদেশ রেলওয়ের কিছু আসাধু কমকর্তা এবং দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের নানা কেরিশমেটিক কুটুচালে জিম্মি ছোট একটি সুচ কেনা থেকে শুরু করে রেলের বগি কেনা পর্যন্ত সব কাজে। রেলওয়ে প্রতিটি শাখায় এই আসাধু কমকর্তা এবং দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের কারণে চলছে দুর্নীতির মহাউৎসব।

 

সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের নানা বিভাগের মধ্যে বানিজ্যিক বিভাগের দুর্নীতি চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মনীতির তোযাক্কা না করেই ঢাকা গামী নৈশ ট্রেনের উচ্চ শ্রেণির যাত্রীদের ব্যবহৃত বেডিং ও ট্রাফিক রানিং রুম সমুহের ব্যবরত বেডিং সামগ্রী ধোলাই ও ইস্ত্রি করন এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্টেশনে ডাস্টবিনে পলিথিন সরবরাহ সাভিসিং এবং সংরক্ষনের টেন্ডার‍্টি দুই বছরের সময় সীমা শেষ হওয়ার পর ও নতুন করে টেন্ডার আহব্বান না করে তা আবার আগের ঠিকাদার ওয়ালিউর রহমানের প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই লন্ডি এবং ওযাদিকা সার্ভিস এর কাছেই নাম মাত্র মুল্যেই বছরের পর বছর নবায়ন করে আসছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পুর্বাঞ্চলের সি সি এম বিভাগের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসান। যার কারনে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিপুল অংকের রাজ্বস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

 

ঠিকাদার ওয়ালিউর রহমানের ২ টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যে ভাই ভাই লন্ডি ২০১৬ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বরের অনুবৃক্তি ক্রমে এবং ওযাদিকা সাভিস ২০১৮ সালের ১৮ই জানুয়ারি অনুবৃক্তি ক্রমে থেকে টেন্ডার দুটি পেয়ে আসছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী সরকার যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার অনুবৃক্তি ক্রমে বাড়ানো যায় কিন্তু সরকার যদি ব্যায় করে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের কাজের মান ভালো হলে সর্বোচ্চ মোট দুই বার একই প্রতিষ্ঠান কে টেন্ডার দেয়া যাবে। এরপরে নতুন টেন্ডার আহ্বান করতে হবে। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানকে রেলওয়ের কোন নিযম নীতির তোযাক্কা না করে বছরের পর বছর নাম মাত্র মুল্যে ওয়ালিউর রহমানের এই দুই প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার নবায়ন করে দিচ্ছে রেলওয়ের পুর্বাঞ্জলের সি সি এম বিভাগের দুর্নীতিবাজ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকতা, এর ফলে সরকার হারাচ্ছে তার রাজ্বস্ব আর পকেট ভারী করছে দুর্নীতিবাজ এই উচ্চপদস্থ কর্মকতার।

 

এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক ওয়ালিউর রহমান সিসিএম বিভাগের এই দুর্নীতিবাজ উচ্চপদস্থ কর্মকতাদের ক্ষমতায় এতটাই ক্ষমতাধর যে তার ভয়ে অন্য সাধারণ ঠিকাদাররা সিসিএম বিভাগে কোন কাজে আসতেই ভয় পান।

 

নাম প্রকাশ না প্রকাশ করার শর্তে এক ঠিকাদারের প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ছোট থেকে ছোট কোন টেন্ডার যদি আমরা সাধারণ ঠিকাদার পেয়ে থাকি সেখানে এই ওয়ালিউরকে দিয়ে হয় কমিশন। কমিশন না দিলে টেন্ডার পেপারে সই করেন না সিসিএম বিভাগের এই দুর্নীতিবাজ উচ্চপদস্থ কর্মকতারা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ওয়ালিউর শুধু কাভার ওয়াস ও পলিথিন সরবরাহই নই সিসিএম বিভাগের প্রায় সব কাজই তার দখলে। অন্ত নগর ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেস এবং জামালপুর এক্সপ্রেস এর ক্যাটারিং সার্ভিস ও তার দখলে। তার ক্যাটারিং সার্ভিসের বাসী পঁচা খাবার খেয়ে যাত্রীরা প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। এই খাবার নিযে আগে ৭১ সংবাদে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এই বিষয় এ সিসিএম বিভাগ ওয়ালিউর রহমানের চট্রলা এক্সপ্রেস এবং জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিই কিছুই করেননি। অথচ অন্য ট্রেনের খাবারের মান আগের থেকে এখন তুলনামূলক ভাবে অনেক ভালো হয়েছে।সিসিএম বিভাগের এই দুর্নীতিবাজ উচ্চপদস্থ কর্মকতাদের কারণেই ওয়ালিউর আজ শত কোটি টাকার মালিক। নামে বেনামে ঢাকা, চট্টগ্রামে আছে প্লট ও ফ্ল্যাট।

 

আরো জানা যায়, ট্রেনে ভিতর যে অগ্নিনিবর্পক মেশিন থাকে সেগুলো LTM টেন্ডারের মাধ্যমে ওয়ালিউর রহমান তার দখলে নিয়েছেন।

 

এই বিষয় নিয়ে রেলওয়ের পুর্বাঞ্চলের জিএম আবিদুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনন্তকাল তো আর একজনকে কাজ দেয়া যায় না, আমি বিষয়টি সম্পর্কে সম্পুর্ণ কিছু জানি না। এটি সিসিএম বিভাগের কাজ তারাই আপনাকে সম্পুর্ণ বিষয়টি বলতে পারবেন।

 

এই বিষয় এ জানার জন্য রেলওয়ের পুর্বাঞ্ছলের সি সি এম বিভাগের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের সাথে বারবার মুটোফোনে এবং হোয়াটঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন প্রকার সাড়া দেননি। সবর্শেষ এসএমএস করে উনার কাছে বক্তব্যর জন্য সময় চাইলে সেটার উত্তর অদ্যবদি মেলেনি।

 

 

রেলওয়ের এইসব দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু এই সব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কারণে রেল বিভাগ যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি হারাচ্ছে যাত্রী সেবার মান। রেলওয়েকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে হলে অতিদ্রুত এইসব দুনীতিগ্রস্থ কর্মকতা এবং অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews