1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ কোথায়! 
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ কোথায়! 

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩, ৭.৩৪ পিএম
  • ১৯১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক 

চট্টগ্রাম নগরীর বায়জিদ, শেরশাহ, কুঞ্জছায়া, সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি, আরেফিন নগর, চৌধুরী নগর , ড্রিম লাইন ঘোনা, মাঝের ঘোনা , ইসলামপুর, অক্সিজেন, কুলগাও নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড।

গার্মেন্টস, রি-রোলিং মিল, টি-বোর্ডসহ বিভিন্ন কল–কারখানা সমৃদ্ধ প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস বসবাস পূর্ণ এলাকাটি আধিপত্য বিস্তার, মাদক বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং ভূমিদস্যুদের উৎপাতসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এলাকার আয়ের অন্যতম উৎস সরকারি পাহাড় কেটে বসতি নির্মান।

এই সমস্যা বহুল ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। বিগত চসিক নির্বাচনে দ্বিতীয় বারে এসে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পাহাড়খেকো ও দখলবাজীর নানা অপকর্মে অভিযুক্ত হয়ে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন তিনি। অবশ্য তার বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেন এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর । উল্লেখ্য দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তিনি গত নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২ নং ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তার এবং দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে সংষর্ঘ ও খুনোখুনির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এতে আতঙ্কে থাকেন এই এখানকার দেড় লাখ মানুষ। এমনকি অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে গত বছরের জুনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িও ভাঙচুর করে  জসিম সহ দখলকারীরা। আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত পাঁচ বছরে এখানে ৯টি খুনের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করে আরো জানা গেছে, বায়েজিদ থানাধীন নাসিরাবাদ শিল্পাঞ্চলে দুই শতাধিক কারখানায় চাঁদাবাজি, বিতর্কিত ও পাহাড়ি খাসজমির দখল-বেদখল ঘিরে সক্রিয় রয়েছে যুবলীগ নামধারীরা ও সাহেদ ইকবাল বাবুর অনুসারী রা। যদিও বা বরাবরই কাউন্সিলর সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান।

গত সপ্তাহ জুড়ে বাংলাবাজার, শেরশাহ এলাকার অন্তত ২০ ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা শাহেদ ইকবাল বাবুর অনুসারীদের চাঁদাবাজি, জায়গা দখল চললেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।

আবার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার স্থানিয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বিগত ২ টি নির্বাচনে সাহেদ ইকবাল বাবু কাউন্সিলর পদে আসার পর থেকে সিএনজি ট্যাক্সির ও ব্যাটারী চালিত রিকশার দৌড়ত্ব অত্যন্ত বেশি। মহানগরীতে চলাচল নিষিদ্ধ ব্যাটারী চালিত রিকশা ও সিএনজি ট্যাক্সিগুলো পুলিশী ঝামেলা এড়াতে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল না করে এই ওয়ার্ডের সড়ক দিয়ে চলাচল করে। যারফলে মানুষের দূর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে বলে জানান স্থানিয় বাসিন্দারা।

সূত্র বলছে, কাউন্সিলের ভাই ও তার আস্থাভাজন লোকদের দিয়ে ২ নং ওয়ার্ডের সিএনজি ট্যাক্সির ও ব্যাটারী চালিত টোকেন দিয়ে থাকেন। যার থেকে প্রতিমাসে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর পকেটে যায় মোটা অংকের অর্থ

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডে বিআর ও বাং লিখার পর সিরিয়াল নাম্বার লাগানো ব্যাটারী চালিত রিকশায় টোকেন দেওয়া হয়। টোকেন প্রাপ্ত ব্যাটারী চালিত রিকশাকে প্রতিদিন গুনতে হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে। আবার টোকেন নিতে দিতে হয় এককালীন টাকা

তুফানি রোড ও ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডে ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল করে এমন বেশ কয়েকটি সড়কের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিক্সা চালক আক্ষেপ করে বলেন অলি গলিতে রিক্সা চালায় এখানেও শান্তি নেই । গতর কেটে সারাদিন যা ইনকাম করি গ্যারেজ মালিক, চার্জ বাবদ টাকা দেওয়ার পর কত টাকায় থাকে বলেন। এরসথে প্রতিদিন টোকেন বাবদ দিতে হয় ১০০/১২০ টাকা।

ব্যাটারী চালিত রিকশার টোকেন নিয়ে মুঠোফোনে তুফানি রোডের করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিআর টোকেনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কাউন্সিলর ভাই টোকেন টি দিয়ে থাকেন গ্যারেজ মালিক মনিরের মাধ্যমে। কাউন্সিলর ভাই অন্য আরেকজন দিয়ে তা পরিচালনা করেন।

অপরদিকে ব্যাটারী চালিত রিকশার টোকেন বাণিজ্য দিয়ে কাউন্সিলর এর ভাইয়ের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার স্থানিয় বাসিন্দারা জানান, ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় চুরি-ছিনতাই, কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা সহ মাদক ব্যবসায়ি ও মাদক সেবীদের উৎপাতের কথাও’যেমন আরফিন নগর বিশ্ব কবরস্থান ঘিরে কবরস্থানের পবিত্রতা ধ্বংস করে মুক্তার মাদকের আস্তানা যা নিয়ন্ত্রণ হয় ৩০ টারও বেশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একের পর এক খুন, হামলা-পাল্টা হামলায় ভয়ংকর জনপদে পরিণত চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা। চাঁদাবাজি, ঝুট ব্যবসা, সরকারি পাহাড় ও খাসজমি দখল-বেদখল, ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সময়ই এলাকাকে অস্থির করে রাখে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। অনুসন্ধানে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে যুবলীগ নামধারী ২ জনের নাম উঠে আসলেও কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর অনুসারীদের দখল-বেদখল, ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তারে রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। প্রতিটি ঘটনার পর চুনোপুঁটি ধরে দায় শেষ করে পুলিশ। ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় ২ গ্রুপের আশির্বাদ পুষ্টরা।

উল্লেখ্য ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর চসিক নির্বাচনে জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর পক্ষে কাজ না করায় জামায়াত আখ্যায়িত করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আবু।

তিনি বলেন, কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু ও তার সমর্থকরা আমার বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও ষড়যন্ত্রমূলক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, অপরদিকে কাউন্সিলর সাহেদের ছোট ভাই জুবায়ের আরেফিন স্থানীয় জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বর্তমানে জালালাবাদ কাউন্সিলর কার্যালয় জামায়াত কর্মীদের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিলেন তিনি।

প্রায় একি ধরনের অভিযোগ করেন ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজী নাসির কোম্পানি। তিনি বলেন শাহেদ ইকবাল বাবু প্রথমবার যখন কাউন্সিলর নির্বাচন করেন সেই সময় আমি তার নির্বাচনী কার্যক্রমে সার্বক্ষণিক ছিলাম। দ্বিতীয় বার তিনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি। এপর থেকে শুরু হয় আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। তুফানি রোডে বিরোধপূর্ণ রাস্তায় আমার জায়গা না থাকার পরও আমাকে কাউন্সিলর কর্তৃক নোটিশ প্রদান। খালের আশে পাশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা থাকলেও বিনা নোটিশে কোনোরূপ পূর্ব ঘোষনা ব্যতিত সিটি কর্পোরেশন ম্যাজিটেট দিয়ে আমার বৈধ সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়াসহ বিভিন্ন সময়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র করছেন আমার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সময়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি একটি সংবাদ সম্মেলন করি। যা বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।

তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যে কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু সম্পূর্ণ হয়রানি করার মানষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও দায়ের করেন।

হাজী নাছির কোম্পানির আরো অভিযোগ করেন, গত নির্বাচনের পর আমার ভগ্নিপতি ও বোনের জন্মসনদ নিতে গেলেও তিনি তা দেননি ও বারবার থাকে ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে আমরা মহিলা কাউন্সিলর থেকে জন্ম সনদ গ্রহন করি।

প্রাপ্য জন্ম সনদ ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট প্রদানে হয়রানি করার আরো বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর এক নিকট আত্মীয় জানান, ২০১৭ সাল থেকে ওনার স্বামীর ওয়ারিশান সার্টিফিকেট এর বারবার ধর্ণা দিলেও এযাবৎ মিলেনি কাঙ্ক্ষিত ওয়ারিশান সার্টিফিকেট।

এছাড়াও সম্প্রতি চেক প্রতারণা মামলায় সাহেদ ইকবাল বাবুর পার্টাশিপ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এইচ এন্ড এইচ ডিজিটাল ইক্যুপমেন্ট , প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পার্টনার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু, ম্যানেজিং পার্টনার মোহাম্মদ হোসাইন আল ওসমান মামলা করেছে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড মুরাদপুর শাখা।

গত বছর বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এর পক্ষে মুরাদপুর শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার মাউসুফ উদ্দীন (৩০) বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৭০/২০২২ ইং।

মামলার নথিতে বলা হয়, এইচ এন্ড এইচ ডিজিটাল ইক্যুপমেন্ট অংশীদারি ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যাংক হতে ঋণের জন্য আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পার্টনারশীপ ফার্মের ব্যবসার জন্য উক্ত ঋণ মঞ্জুর করেন। আসামিগণ যাবতীয় ঋনের শর্ত মেনে ঋণের ডিসভাসমেন্ট নেয় এবং বিতরণকৃত ঋণ যথাযথ ভোগ করে। কিন্তু শর্তানুযায়ী ঋণ পরিশোধের সময়সীমা অতিবাহিত হলে চাপ দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৩০ মার্চ আসামিগণ তাগাদার প্রেক্ষিতে নগদের পরিবর্তে চেক এর মাধ্যমে উক্ত বকেয়া ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে এক কোটি চৌদ্দ লক্ষ আটাশ হাজার পাঁচশত টাকার চেক দেয়। চেক দিয়ে একই দিনে নবায়নের জন্য উপস্থাপন করা হলে তা ডিসঅনার হয়। পরবর্তীতে গত ১৩ এপ্রিল আসামিগণ বরাবর লিগেল নোটিশ প্রেরণ করলে তা ১৭ এপ্রিল গ্রহণ করেন। কিন্তু তাতে কেউ সাড়া দেননি।

এবিষয়ে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এর মুরাদপুর শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার মাউসুফ উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টে (এনআই অ্যাক্ট) এর ১৩৮ ও ১৪০ ধারায় মামলা। মামলাটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তিনি আসামিদেরকে তাদের ভালো গ্রাহক উল্লেখ করে বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এমনকি তিনি যে প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি প্রতারণা করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের সাথেও সম্প্রিক সময়ে এমন অভিযোগ আছে মোট অংকের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নাগরিককে ভুয়া জন্ম সনদ দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক বানিয়েছেন এই ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব সাহেদ ইকবাল বাবু।

এরা তিনজনই ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জাতীয় নাগরিক সনদ ও জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। পরবর্তীতে তারা এনআইডির সহযোগিতায় পাসপোর্টও বানিয়েছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, চট্টগ্রাম বায়েজিদ বস্তুামি থানাধীন ২নং জালালাবাদ বাংলাবাজার হারিকেন ফ্যক্টরি পিছনে নুর স্বপ্ন বিলাস আবাসিক এলাকায় সিলেটী মাঠের ২৪৫৮ দাগের উপর দিয়ে আঁকা-বাঁকা মূল সড়ক থেকে শেষপর্যন্ত আর, এস দাগ ২৪২২ পৌঁছানোর জন্য ডি,পি ১০৮ এর খাস রাস্তা ১২’ফুট × ৪৫০’ফুটের ৫০ বছরের অধিক পুরাতন একটি রাস্তা জোরপূর্বক শীর্ষস্থানীয় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দিলে দিলেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে ২নং ওয়ার্ড জালালাবাদ কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ১৫ শত পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৫০০ পরিবারের সদস্যদরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের চলাচলের কোন রাস্তা না থাকায় এক প্রকার গৃহবন্দি স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ২নং কাউন্সিলর এর কাছে ২০২২ সালের ৮ আগস্ট খরিদকৃত জমির চাইতে বেশি জায়গা দখল করার চেষ্টায় দরখাস্ত দায়ের করি। তিনি সরোজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শন করে যান তিনি আমাদের জানান যে রাস্তাটি উদ্ধার করে দিবে।

কোন এলাকায় ভোটার থেকে তাদেরকে রাস্তা করে দেওয়ার দায়িত্ব কাউন্সিলরের থাকলেও তিনি আমাদের এবিষয়টিতে অপারগতা দেখাচ্ছেন। তারা আরো বলেন, এতগুলো ভোটার থাকার পরও কেন পারছেন না আমরা তা জানি না।

২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু দীর্ঘ দিন আগে দরখাস্ত দেয়ার পর তিনি উদ্ধারের আশ্বাস দিও নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারেনি আমরা।আমরা মনে করি কোন একটি প্রভাবের কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে কাউন্সিলর এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে 0198—378 নাম্বার থেক কাউন্সিলর এর মুঠোফোনে কল করা হলে, তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে কল কেটে দেন। পরবর্তীতে তাকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল উঠায়নি পরবর্তীতে পরের দিন আবারও তাকে +880 1865—178 নাম্বার থেকে কল দিলেও রিসিভ করেননি।

চোখ রাখুন আগামী পর্বে….

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews