1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
নড়াইলের কামার পল্লীতে কোরবানী ঈদে হাক ডাক নেই
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
*ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন

নড়াইলের কামার পল্লীতে কোরবানী ঈদে হাক ডাক নেই

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০, ৪.৪০ পিএম
  • ১৯০ বার পঠিত
surjodoy
 ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরাবনীর ঈদ। সারা বছর অলস সময় পার করলেও কর্মকাররা অপোয় থাকেন কোরবানী বা বকরা ঈদের জন্য। কোরবানীর মৌসুমের ব্যবসা দিয়েই সারা বছরের উপার্জন জোটে তাদের। তাই এই সময় আগে কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহায় ছন্দময় পিটাপিটিতে মুখর থাকতো কামার পাড়া। উজ্জ্বল রায়, নিজস্ব প্রতিবেদক নড়াইল জানান,  তাদের টুংটাং শব্দে ভোরেই ঘুম ভাঙতো দোকানের আশেপাশের এলাকার মানুষের। কেউ আসতেন কোরবানী করার অন্যতম অনুসঙ্গী ধারালো ছুরি, বটি, ধামাসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে। আবার কেউবা আসতেন এসব সরঞ্জাম শাণ দিতে। বছরের অন্য সময়ে দিনে ২৫০থেকে ৩০০ টাকা আয় হলেও এ সময়ে আয় হতো ৬০০/৭০০ করে টাকা।
এ বছর করোনা পালটে দিয়েছে নড়াইলের কামার পল্লীতে কোরবানী ঈদে হাক ডাক নেই। কামারশালার চিরচেনা চিত্র। কাঙ্খিত কাজ না পাওয়ায় আয়-রোজগারে ভাটা পড়েছে। আবার যে পরিমাণ কাজ পাওয়া যাচ্ছে কয়লা ও ইস্পাতের অভাবে দা বটি ছুরি বানাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকারেরা। তাই পুরোনো ছুরি-চাকু, চাপট, বটি ইত্যাদি শাণ দিয়ে রাখছেন তারা। সরেজমিনে কামার পাড়ায় দেখা গেছে, আগের মতো কর্মব্যস্ততা নেই তাদের। অথচ এই সময়টাতে গ্রাহকের অর্ডার নিয়ে ঠিক সময়ে ডেলিভারি দিতে দোকানে বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ দিয়েও হিমশিম খেতে হতো। আগে ভাগেই কাঁচা লোহা কিনে রাখতে হতো। শাণ দেওয়ার যন্ত্রে ব্যবহারের জন্য মজুদ করতে হতো কয়লা। আর এখন এ পরিস্থিতিতে গ্রাহকের অপোয় থাকতে হচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পুরোনো দা বটি ছুরিতেই শাণ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা অনেকে। পূর্ব পুরুষের হাত ধরে এই কামার পেশায় এসেছেন তাদের অধিকাংশরা। একেতো আধুনিক যন্ত্রাংশের দাপটে কামার শিল্পে চলছে দুর্দিন। তারপরও বাপ-দাদার পেশা টিকিয়ে রেখেছেন অনেকে। সদর উপজেলার প্রাচীনতম বাজারের দিলিপ কর্মকার বলেন, ঈদের এক মাস আগে থেকেই দা, ছুরি, বটি, চাপট ইত্যাদি তৈরি করা শুরু করতাম। আর কোরবানের এক সপ্তাহ আগে থেকে বেচা-বিক্রি শুরু হয়ে চলতো ঈদের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। একেত এপেশার দুর্দিন তার উপর মহামারী করোনার অগ্রাশন সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-লা অবস্থা। এ বছর তেমন কাজ পাওয়া যায়নি। তাই পুরোনো ছুরি, চাপট, বটি, শাণ দিয়ে রাখছি বিক্রির আশায়। এবার তেমন কাজ নেই। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার কাজই নাই। করোনার কারণে কাজ কমে গেছে অনেক গুন। বাজারের বহু পুরানো নিখিল কর্মকর বলেন, দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতনসহ আনুষঙ্গিক খরচ দিয়ে সারাবছরই লোকসানে থাকতে হয়। এ লোকসান কাটিয়ে উঠতে আমরা কোরবানি ঈদের অপোয় থাকি। এবার মাত্র কয়েকটি দা-ছুরি বিক্রি ও শাণ দেওয়ার কাজ পেয়েছি। এ ছাড়াও বিভিন্ন হার্ডওয়ার দোকানে চায়না থেকে আমদানী করা মাংস কাটার ধারালো অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ সেগুলো কেনায় কামারদের কাছে অনেকেই আসছেন না।
শুধু এই এলাকায় নয়, একই অবস্থা জেলার বিভিন্ন স্থানে। অন্যান্য বারে কোরবানির মৌসুমে তিন থেকে চারজন অতিরিক্ত লোক রাখলেও এবার নিজেরা কাজ সারতে হচ্ছে। প্রতি বছরের তুলনায় চার ভাগের একভাগও কাজ নেই। মাংস কাটার সরঞ্জামের দাম আগের মত কিন্তু কয়লার দাম বেশি। পরিচিতরা আসলেও নতুন কোন ক্রেতা নেই দোকানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews