1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পুলিশের সামনেই গায়ে আগুন দিয়ে রুশ সাংবাদিকের আত্মহত্যা
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
“প্রিন্ট বনাম ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া: সাংবাদিকদের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব” রাজধানীর মিরপুরে পত্রিকার আড়ালে চলছে অবৈধ রিক্সা বাণিজ্য। হারিয়েছে সাভার উপজেলার চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বার হলেন রাজীব নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন

পুলিশের সামনেই গায়ে আগুন দিয়ে রুশ সাংবাদিকের আত্মহত্যা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০, ১০.২২ এএম
  • ১৫৮ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: সরকার-বিরোধী খবর লিখে ‘অপরাধ’ করেছিলেন তিনি। এরপরেই তার বাড়িতে আচমকা হানা দেয় পুলিশ-বাহিনী। বিনা কারণে তল্লাশি শুরু করে। মানসিক হেনস্থাও চলে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে নিঝনি নোভগোরোদ শহরে পুলিশের সদর দফতরের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হলেন সাংবাদিক ইরিনা স্লাভিনা। তার আগে নিজেই ফেসবুকে জানিয়ে গেলেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আপনারা রুশ ফেডারেশনকেই দায়ী করবেন।’

রাশিয়ার মস্কো থেকে ৪০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত নিঝনি নোভগোরোদ শহরের একটি খবরের ওয়েবসাইটের প্রধান সম্পাদক ছিলেন ইরিনা। নিজের ওয়েবসাইটে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তদন্তমূলক খবর ছাপিয়ে ছিলেন তিনি। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের চাপ এতটাই থাকে যে আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর দেখাই যায় না। ইরিনা ব্যতিক্রমী পথে হাঁটতেই নানা ভাবে সরকারি-হেনস্থা শুরু হয়।

তার মৃত্যুর পরে তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ইরিনার। কিন্তু এর সঙ্গে পুলিশি হানার কোনও যোগ থাকার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’।

ইরিনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুলিশি হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। মানবাধিকার কর্মী তথা আইনজীবী পাভেল চিকভ জানিয়েছেন, দু’বার তিনি ইরিনার সঙ্গে কাজ করেছিলেন। প্রতিবারই তার বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ছড়ানো ও প্রশাসনকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছিল।

গত বৃহস্পতিবার ইরিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, ভোর বেলা তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ ও ফেডারেল গার্ডরা। সরকার-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নথিপত্র খুঁজতে থাকে তারা। ইরিনা লেখেন, ‘আমার কাছে কিছু নেই।’

তার নোটবুক, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এমনকি স্বামী ও মেয়ের জিনিসপত্রও নিয়ে চলে যায় পুলিশ। হতাশা উগরে ইরিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘কাজ করার জন্য আমার কাছে আর কিছু নেই।’

বার্লিন থেকে বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি লিখেছেন, ‘ভয়ানক ঘটনা। ইরিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অপরাধমূলক মামলা সাজানো হচ্ছিল।’

সম্প্রতি বিষ দিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল নাভালনিকে। অভিযোগের আঙুল পুতিন-সরকারের দিকেই। বার্লিনে আপাতত চিকিৎসা চলছে নাভালনির। সেখান থেকেই তিনি বলেন ‘ওরা ইরিনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews