1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক বিয়ে
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভার উপজেলার চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বার হলেন রাজীব নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে”

প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক বিয়ে

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০, ১০.৫৬ পিএম
  • ১৮৩ বার পঠিত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নারী শাহনাজ পারভীন রূপা ওরফে রিপা টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মমিনপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী মণ্ডলের মেয়ে।

অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মিজানুর রহমান নামে এক যুবক রুপাসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন, শাহনাজ পারভীন রূপা ওরফে রিপা, রুপার বোন সিমা আক্তার ও তার মা শিউলি বেগম।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদরের এনায়েতপুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান ২০১৩ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ায় যান। সেখান থেকে রুপার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

মিজানুর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরে আসলে তাদের দেখা সাক্ষাত হয়। কুমুদিনী কলেজে পড়াশোনা অবস্থায় টিউশন, কলেজের বেতন ও হোস্টেল খরচ হিসেবে দেড় লাখ টাকা নেন রূপা।

পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিয়ে ঠিক হলে মিজানুরের কাছ থেকে আরো আড়াই লাখ টাকা নেয় রূপা। পরে মিজানুর রহমান রুপাকে বিয়ের কথা বললে তিনি বিয়ে করবেন না বলে অস্বীকার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১২ সালের নভেম্বরে পার্শ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার আম্বাড়ীয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে রোকনুজ্জামানের সঙ্গে বিয়ে হয় রুপার। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় রোকনুজ্জামানের বন্ধু একই উপজেলার মোল্লাবাড়ীর হাজী শহীদ আলীর ছেলে মনির হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। আগের দুটি বিয়ের তথ্য গোপন করে তৃতীয় বিয়ে করেন নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা গ্রামের জালাল বিশ্বাসের ছেলে বি এম সোহেল রানাকে।

শাহনাজ পারভীন রূপার শিক্ষাগত সনদপত্র এবং একাধিক বিয়ের কাবিননামায় যে তথ্য দিয়েছেন তার একটির সঙ্গে অপরটির মিল নেই। কাবিন নামা, শিক্ষাগত সনদপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা-মাতার নাম ভিন্ন রয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার দাত্তাপাকুটিয়া গ্রামের মামা শামছু উদ্দিন, মামি হেলেনা খাতুনকে পিতা মাতা সাজিয়ে ধনবাড়ী উপজেলার মমিনপুর গ্রামের স্থানীয় ও বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করে জন্ম সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ হাসিল করেন রুপা।

এ বিষয়ে শাহনাজ পারভীন রূপা মুঠোফোনে বিয়ের কথা স্বীকার করে জানান, শামস উদ্দিন ও হেলেনা খাতুন তার মামা মামি। অন্য অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মামলার বাদী মিজানুর রহমান জানান, প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে রুপা তার মাকে মারধর করে এবং টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।

যদুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মীর ফিরোজ আহমেদ সনদপত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, একটা ইউপির সবাইকে চিনি না। যে যখন আসে তাকেই সনদপত্র দিতে হয়।

টাঙ্গাইল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

ধনবাড়ীর ইউএনও আরিফা সিদ্দিকা জানান, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews