লক্ষ্মীপুরে জেলা পরিষদ ডাকবাংলা থেকে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
জিহাদ হোসাইন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter share
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় জেলা পরিষদের ডাক বাংলো রেস্ট হাউজে জুয়ার আসর থেকে ৮ জুয়াড়িকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
Surjodoy.com
গতকাল শনিবার (৫ জুন) আনুমানিক রাত ৯:৩০ মিনিটে সময় লক্ষ্মীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজিজুর রহমান মিয়া এর নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই টিপু সুলতান এএসআই মোঃ আহসান উল্যাহ, এএসআই মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ জুয়ার আসর চলাকালীন সময়ে ৮ জুয়াড়িকে আটক করে।
The Daily surjodoy
আটককৃতরা হলেন, সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও রায়পুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৬), রাখালিয়ার মৃত ছফি উল্যা ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৪৮), ডাক বাংলোর কেয়ারটেকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩০), সাগরদী গ্রামের হোসেন আহম্মদের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৫), রাখালিয়া গ্রামের মৃত মোতাহের ইসলামের ছেলে ফজলুল হক (৫২), রাখালিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোঃ রাসেল (৩৯), শ্যামগঞ্জের বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও কাফিলাতলীর সলিম উল্যার ছেলে জামাল হোসেন (৩৮)।
The Daily surjodoy
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রভাবশালী চক্র রায়পুর ডাক বাংলোতে জুয়া ও মাদক সেবনের মত বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল।সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকা নিয়ে জুয়া খেলতে বসত জুয়ারিরা। আর একাজে সহযোগীতা করে আসছিল জেলা পরিষদ থেকে নিযুক্ত তত্বাবধায়ক বিল্লাল হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন। বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নজরে আসলে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
The Daily surjodoy
আজ রবিবার (৬ জুন) জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নিজস্ব ফেইসবুক ফেইজ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়।এতে বলা হয় রায়পুর পৌর শহরের ০৪নং ওয়ার্ডস্থ দেনায়েতপুর গ্রামের জেলা পরিষদের ডাক বাংলো রেস্ট হাউজে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ।ঘটনাস্থল থেকে জুয়া খেলার সামগ্রী সহ তাদেরকে আটক করা হয়।পরে রবিবার (৬ জুন) জুয়া আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
The Daily surjodoy
সূত্রে জানা যায়,পুলিশ আসামীদের আদালতে হাজির করার পর পরই তারা জামিনে বের হয়ে যায়।এদিকে এঘটনার বিষয়ে জানা নেই বলে মন্তব্য করেন জেলা পরিষদের নিবার্হী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা।
The Daily surjodoy
তিনি আরো জানান, গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে জানার পর।তত্বাবধায়ক বিল্লাল হোসেনর কাছ থেকে শুনেছি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।তবে এবিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালভাবে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।বিল্লাল হোসেন ঘটনার সময় মসজিদে নামাজ পড়ছিল।নামাজ শেষ ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন পুলিশ তার ছেলে মামুনকে ধরে নিয়ে গেছে।তদন্তে বিল্লাল হোসেন দোষী প্রমাণিত হলে তার বিষয়ে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..