1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
আদিতমারীতে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভার উপজেলার চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বার হলেন রাজীব নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে”

আদিতমারীতে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১, ২.২৯ পিএম
  • ২১৬ বার পঠিত

সেলিম সম্রাট, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কাজের কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় রাস্তা ভরাটের কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের কাজ নামে মাত্র করেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আদিতমারী
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও)মফিজুল ইসলাম এর যোগসাজশে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির লোকজন নামমাত্র কাজ করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের লাখ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ।
স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জনিয়েছেন।
আদিতমারী উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০—২০২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কমসুচী কাবিটা ১য় পর্যায় এর সাধারণ প্রকল্পের অনুকূলে ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ৪২ টাকা ১৯ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শতভাগ শেষ করার সরকারি নির্দেশনা ছিল।
অধিকাংশ প্রকল্পে ই কাজ শেষ করা হয়নি। টাকা লোপার্টের সুবিধার জন্য সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পছন্দ মত করেছেন প্রকল্পের চেয়ারম্যান। তবে কাগজ কলমে শতভাগ কাজ দেখিয়ে ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ অর্থ উত্তোলন করে ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে আদিতমারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকর্তা মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ।
সরেজমিনে দেখা যায় , উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোবধা এছরাউলের চৌপতি হতে মাষাণকুড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে বরাদ্ধ ছিলো ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৩২ টাকা , একিই ইউনিয়নের ভালবাসার বাজার পানির পাম্প হতে ত্রানের ব্রীজের শেষ মাথা পযন্ত রাস্তা সংস্কারে বরাদ্ধ ছিলো ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭ শত ৪৭ টাকা, একই উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা পাকা রাস্তা হতে দক্ষিনে হরি বালার থান গামী রাস্তা সংস্কারে বরাদ্ধ ছিলো ৪ লাখ ২ হাজার ৮৯৯ টাকা ৬ংওয়ার্ডের আমেনা বাজার হতে চওরাটারী মসজিদ পযন্ত রাস্তা সংস্কারে বরাদ্ধ ছিলো ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৬ টাকা সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের নামে নামমাত্র কাজ করে টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কয়েকটি প্রকল্পের নামেই মাত্র কাজ করলেও তা কোন কাজে আসেনি।

এ বিষয়ে এছলাবের মোড় এলাকার ৬ং ওয়ার্ডের নূর আলম (৩৯) বলেন বরাদ্ধ কত হয়েছে তা আমরা জানিনা তবে এ রাস্তায় ৪ং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল কাজী আকরাম কে চুক্তি দিয়ে সামান্য কিছু রাস্তার ঘাস ছিলে তা আবার রাস্তার মধ্যে দিয়েছে । ট্রাক্টর চালক মোস্তাকিম বলেন, এ বছরে আমাদের রাস্তায় যে কাজ করেছে আমরা সেখান দিয়ে গাড়ী নিয়া যাইতে পারিনা , যে খাল সে খালেই আছে।সড়কগুলির এমন বেহাল দশা যে, সামান্য বৃষ্টিতে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেটে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়ে।
৬ং ওয়ার্ডের রফিকুল মেম্বার বলেন , আমার ওয়ার্ডের কাজ কিন্তু আমি করিনি করেছে ৪ং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল কাজী । ৪ং ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল কাজী বলেন, আমি যতটুকু বরাদ্ধ পেয়েছিলাম তাই দিয়েই কাজ করেছি আদিতমারী পি আই ও স্যার কাজ বুঝে নিয়েই আমায় বিল দিয়েছেন । কত টাকা পি আই ও আপনাকে দিয়েছেন প্রতিনিধির এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেন নি ।
আদিতমারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি.আই.ও) মফিজুল ইসলাম বলেন, আজ কে তো বক্তব্য দিতে পারবো না। আপনি অন্য দিন আসেন আমি খোঁজ খবর নিই ,আপনারা তো বুঝেন টিআর কাবিখার টাকা বিভিন্ন জনকে দিয়েই আমরা কিছু পাই । এই বিভিন্ন জনের নাম জানতে চাইলে এর কোন উত্তর তার কাছে পাওয়া যায় নি ।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার( ভুমি) দিলশাদ জাহান বলেন , আমি এ বছরে দায়িত্বে ছিলাম না অন্য জন ছিলো আমার কাছে ফাইল নেই যে আমি বলতে পারবো , তবে যদি আপনি ডকুমেন্টস দেন তাহলে অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা নিবো ।

এ বিষয়ে উপসচিব পরিচালক( কাবিখা ) অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান , একটা মানুষের আর কত টাকার দরকার হয় । দ্রুতই আমি লালমনিরহাট সফর করবো এবং যত দ্রুত সম্ভব আমরা অনিয়মের তদন্ত করবো প্রকল্পে অনিয়ম হলে এক চূল ছাড় দেওয়া হবে না ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews