1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভার উপজেলার চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বার হলেন রাজীব নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে”

ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১, ৯.১২ পিএম
  • ১৯০ বার পঠিত

রাশিদ আহমেদ গাজীপুর জেলা ব্যুরোচীফঃ

বিশ্বসেরা মহামানব হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর ধর্ম, পর মত ও ভিন্ন চিন্তার প্রতি সর্বদা সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে শিখিয়েছেন। সত্যিকারের কোনো মুসলিম কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সাবধান! যে চুক্তিবদ্ধ সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তির ওপর জুলুম করবে কিংবা তার প্রাপ্য কম দেবে কিংবা তাকে তার সামর্থের বাইরে কিছু করতে বাধ্য করবে অথবা তার সন্তুষ্টিমূলক সম্মতি ছাড়া তার কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করবে, কেয়ামতের দিন আমি তার বিপক্ষে বাদী হবো।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকে ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে।’ -সহিহ বোখারি : ৩১৬৬

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ -সুনানে নাসায়ি : ৪৭৪৭

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদিনের চিরাচরিত নিয়ম ছিলো, যখন কোনো বাহিনী (যুদ্ধের জন্য) প্রেরণের প্রয়োজন হতো- তখন তারা বিভিন্ন নসিহতের পাশাপাশি এ নসিহতটি গুরুত্বের সঙ্গে করতেন, ‘যুদ্ধকালীন সময়ে বা যুদ্ধের পর কোনো মন্দির-গীর্জা-উপাসনালয় ভাঙবে না।’ -মুসান্নাফ আবি শায়বা : ৩৩৮০৪

পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় বলা হয়েছে, ‘বস্তুতঃ ফেতনা (বিপর্যয় সৃষ্টি) হত্যার চেয়েও গুরুতর (অপরাধ)।’ মানুষকে আল্লাহ বুদ্ধি-বিকেক দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়ার প্রতিটি মানুষ ও মানবগোষ্ঠীর চিন্তা, মত, ধর্ম-দর্শন আলাদা। তাই ভিন্ন মত, পথ ও ধর্ম-দর্শনের প্রতি নিজের চিন্তা ও দর্শনের মতোই শ্রদ্ধা রাখা জরুরি।

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘ধর্মের ব্যাপারে (কোনো) জোর-জবরদস্তি নেই। ভ্রান্ত মত ও পথকে সঠিক মত ও পথ থেকে ছাঁটাই করে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।’ -সুরা বাকারা : ২৫৬

ইসলামের বিধানমতে, ভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় ভাঙা কিংবা ক্ষতিসাধন করা পাপের কাজ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহকে ছেড়ে তারা যাদের (দেব-দেবীর) আরাধনা করে, তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না (গালি দিয়ো না)। তাহলে তারাও ধৃষ্টতা দেখাতে গিয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালমন্দ করবে।’ -সুরা আনআম : ১০৮

কোরআন-হাদিসের এসব নির্দেশনার আলোকে অনেক ইসলামি স্কলার অভিমত প্রকাশ করেছেন, ‘বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দায়িত্ব হলো, অপর ধর্মের উপাসনালয় পাহারা দেওয়া, যাতে তারা স্বাচ্ছন্দে প্রার্থনা করতে পারে। একইভাবে পর মতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকাও অপরিহার্য।’

ইসলামে অপরের দোষ-ত্রুটি তথা ছিদ্রান্বেষণ করা হারাম। হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের কথা গোপনভাবে শুনল, অথচ সে তাদের কথাগুলো শুনুক তারা তা পছন্দ করছে না অথবা তারা তার অবস্থান টের পেয়ে তার থেকে দূরে পালিয়ে যাচ্ছে, কেয়ামতের দিন এজন্য তার কানে সিসা ঢেলে দেওয়া হবে।’ -সহিহ বোখারি : ৭০৪২

কোনো মানুষের ব্যক্তিগত পাপাচার ও দোষ অনুসন্ধান করা, ক্ষতি করা, ব্যক্তিগত স্বার্থ অর্জনের জন্য কারও পেছনে লেগে থাকা ও গোয়েন্দাগিরি করা নিষিদ্ধ। লুকিয়ে কারও কথা শোনা, ঘরের ভেতর উঁকি দেওয়া, ফেসবুকের আইডি হ্যাক করা, পাসওয়ার্ড চুরি করা, ইনবক্স চেক করা, গোপনীয়ভাবে কারও ছবি তোলা, ভিডিওধারণ করা, কথা রেকর্ড করা ইত্যাদি হারাম।

হাদিসে কথাটি আরও সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে, ‘হে লোকেরা, তোমরা যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছো; অথচ ঈমান তোমাদের অন্তরে ঢোকেনি, তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দিয়ো না। তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কারণ যে ব্যক্তি তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের দোষ অনুসন্ধান করল, আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করবেন। আর যার দোষ আল্লাহ অনুসন্ধান করবেন তাকে অবশ্যই তিনি লাঞ্ছিত করে ছাড়বেন, যদিও সে নিজ ঘরের অভ্যন্তরেই অবস্থান করুক না কেন।’ -সুনানে তিরমিজি : ২০৩২

ইসলামের মূল উৎস কোরআন এবং হাদিস পর ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শিখিয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, নবী করিম (সা.)-এর আপনজনদের অনেকেই ছিল ইসলামের কট্টর দুশমন। তথাপি নবী করিম (সা.) তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ ও সুযোগ পেয়ে নির্যাতন করেননি। বরং কোনো বিরোধী পক্ষ যখন অসুস্থ হতো, তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে দেখতে যেতেন। রাসুলের আন্তরিকতায় ওই বিরোধীরাও কালেমার পতাকাতলে আশ্রয় নিত। এই যখন মুসলমানের নবীর চরিত্র, তাহলে তারা কীভাবে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলা করতে পারে? প্রকৃত মুমিন-মুসলমানের পক্ষে এমন কাজ অসম্ভব। নবী করিম (সা.) ও সাহাবাগণ যুদ্ধকালীন সময়েও পর ধর্মের কোনো উপাসনালয় ভাঙতে নিষেধ করেছেন। এটাই ইসলামের শিক্ষা ও উদারতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews