1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
জমির দালাল, চা বিক্রেতাও এখন সাংবাদিক
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

জমির দালাল, চা বিক্রেতাও এখন সাংবাদিক

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০, ১২.৫০ পিএম
  • ৪১৪ বার পঠিত

সজিব খান :

ঢাকা থেকে নামে-বেনামে কতোগুলা পত্রিকা বের হয় রাতে ফকিরাপুলে গেলেই তা দেখা যায়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৫০২টি। ডিএফপির তালিকাভুক্ত পত্রিকা দু’শর বেশি। এর মধ্যে কয়টা পত্রিকা আমরা চিনি বলেন তো ?

হাতেগুনা যে কয়টা পত্রিকা বাজারে আসে সেগুলোই চিনি। তাহলে বাকি পত্রিকাগুলা কোথায় যায়, কখন ছাপায় বলতে পারেন? অনেকে একাই দুই-চারটা দৈনিক পত্রিকার মালিক। কিন্তু কোনোটাই ঠিকমতো ছাপায় না। কেউ দৈনিক পত্রিকার ডিক্লারেশন নিয়ে মাসে একবার বা দুইবার বের করে।আবার কেউ বছরে কয়েকবার মাত্র ছাপায়। বিজ্ঞাপন আছে তো পত্রিকা ছাপে, বিজ্ঞাপন নাই তো ছাপা বন্ধ। সে যাগগে।এসব পত্রিকার বেশিরভাগ কিভাবে বের হয় জানেন তো? এমনও পত্রিকা আছে যাদের কোনো অফিস নেই।

একসময় ছিলো হয়তো বা সিস্টেম করে বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত লোকের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে ডিক্লারেশন নিয়ে নিছে। এখন বাসাতেই অফিস। আর কিছু অফিসে এমনও দেখা যায় যে, পিয়ন আর সম্পাদক ছাড়া কোনো কর্মী নাই। আর প্রতিবেদকের কথা না হয় নাই বললাম। প্রতিবেদক থাকলেও নিউজ পাঠানোর চেয়ে বিজ্ঞাপন কালেকশন করেই তাদের মূল দায়িত্ব। আর প্রতিবেদক লাগবেই বা কেন? ফকিরাপুল থেকে শুধুমাত্র মাস্টহেড চেঞ্জ করে রেডিমেট পত্রিকা বের করা যায়। সারা মাস কন্টাক্টচুয়্যাল পত্রিকা বের হয়। রাতে পত্রিকায় কি নিউজ ছাপা হয় সম্পাদক নিজেই জানে পরদিন সকালে।

এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে ছাপা পত্রিকায় যে অর্থনৈতিক সংকট তা পুরোপুরো কখনোই লাঘব হবে না। এসব পত্রিকাগুলোই ২০-২৫% কিছু ক্ষেত্রে ৫০% ও কমিশন দিয়ে সরকারি বিজ্ঞাপনের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। সার্কুলেশন যাই হোক না কেন, অল্প কিছু সংখ্যক পত্রিকা ছেপে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন দাতার কাছে পৌঁছে দেয় হয়। আর নামে বেনামে পত্রিকা খুলে আইডিকার্ড বিক্রির ব্যবসা তো আছেই। জমির দালাল থেকে শুরু করে চা বিক্রেতাও এখন সাংবাদিক।

এসবের প্রভাব দেশের গণমাধ্যমে কতোটা পড়ছে আঁচ করতে পারেন। আর কতোদিন এসব দেখতে হবে ?

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews