1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
শ্রমিকদের বেতন দিতে আরো টাকা চান গার্মেন্ট মালিকরা
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈতিক স্খলন ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে  বিক্ষাোভ ও পথসভা  *ঝিনাইদহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা খাবার পানীয় বিতরণ* বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

শ্রমিকদের বেতন দিতে আরো টাকা চান গার্মেন্ট মালিকরা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০, ৫.৩৯ পিএম
  • ২২২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রমিকদের বেতন দিতে নতুন করে আরো তিন মাসের মজুরি ও ভাতা দেয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দিতে সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে এ অর্থ চান তারা।

গত সোমবার তিন মাসের মজুরির জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ও বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান যৌথভাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে একটি চিঠি দেন।

তারা দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি পোশাক রপ্তানির সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীর আগামী জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য আগের মতো সহজ শর্তে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

মালিকেরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ কারখানার মজুরি দেয়ার সক্ষমতা নেই। বর্তমানে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে শ্রমিক – কর্মচারীর এপ্রিল, মে ও জুন মাসের মজুরি দিচ্ছেন অনেক পোশাকশিল্পের মালিক।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, তিন-চার মাস পর কারখানায় যেসব পোশাক আমরা তৈরি করব, তার ক্রয়াদেশ বর্তমানে আসার কথা। কিন্তু আসছে না। আসার কোনো লক্ষণও দেখছি না। অন্যদিকে বর্তমানে যেসব পোশাক উৎপাদিত হচ্ছে, সেগুলোর টাকা পেতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই টিকে থাকার জন্য মালিকদের সহায়তা দরকার।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চের শুরুর দিকে ৩১৮ কোটি ডলারের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গত ২৫শে মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

পরে অর্থ মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ এপ্রিল নীতিমালা জারি করে।

সেখানে বলা হয়, সচল কারখানা শ্রমিকের তিন মাসের (এপ্রিল , মে ও জুন) মজুরি দিতে তহবিল থেকে ঋণ পাবে। ঋণের জন্য কোনো সুদ নেই, তবে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো ২ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল নিতে পারবে। ঋণের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংককে দুই বছরের মধ্যে শোধ করবে ব্যাংকগুলো।

জানা যায়, তহবিল থেকে ঋণ পেতে বিজিএমইএর সদস্য ১ হাজার ৩৭০ বিকেএমইএর সদস্য ৫১৯ টি কারখানা আবেদন করেছিল। তবে নানা কারণে বিকেএমইএর ৯৯ সদস্য কারখানার আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এরপরও পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের সিংহভাগ অর্থই ঋণ হিসেবে পেয়েছেন পোশাক শিল্পের মালিকেরা।

নতুন করে তিন মাসের মজুরি দেয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়ার পেছনে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সভাপতি যুক্তি দিয়েছেন , প্রতিনিয়ত বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বর্তমান ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিল করছে। এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। চলতি ক্রয়াদেশের অর্থ পেতেও ছয় থেকে আট মাস সময় লেগে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews